২৫০ নারীর কর্মসংস্থান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন
নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
প্রতিটি ব্যক্তির সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। কারণ, তার ইচ্ছাশক্তি, লক্ষ্য পূরণের বাস্তবিক প্রয়োগ এবং অদম্য মনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। তেমনি একজন নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন।
এক সময় এনজিওতে চাকরি করা এই নারী নিজের ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগিয়ে সাড়া ফেলেছেন নদীভাঙন ও মঙ্গা কবলিত এলাকা গাইবান্ধায়। ৩৪ বছর বয়সী এই নারী উদ্যোক্তা শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ‘নিরাশা দূরীকরণ আর্থসামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএসডিও)’ নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে।
ধানঘরা এলাকার শম্পা ৫ মাস আগে থেকে কাজ শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। তার কাজ ঝুট কাপড় থেকে সুতা তৈরি করা। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি সুতা তৈরি করতে পারেন। চুক্তিভিত্তিতে এক কেজি সুতা তৈরি করলে ১০ টাকা পাওয়া যায়। সেই হিসেবে ৬ ঘণ্টা কাজ করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত পান।
স্বামী পরিত্যক্তা অল্প বয়সী নারী বিউট বেগম। আট বছর আগে স্বামী ছেড়ে চলে গেছেন। এক মেয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল তার। ছয় মাস আগে প্রতিবেশী এক নারীর মাধ্যমে এখানে এসে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর এ প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান তিনি। প্রতিদিন ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা মজুরি পান তিনি। এখন তিনি অনেক ভালো আছেন।
এ রকম শিউলি, আসমা, সুলতানাসহ দুই শতাধিক নারী কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে। তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানের কথা প্রতিবেশিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন। পরে সেখানে (ডিএসডিও) গিয়ে প্রথমে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শেখেন। এরপর সেখানে কাজ শুরু করেন। আয়ের টাকায় সাংসারিক খরচ ছাড়াও বাড়তি টাকা সঞ্চয় করার কথাও জানালেন কেউ কেউ।
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে গাইবান্ধা শহরতলীর বল্লমঝাড় ইউনিয়নের ধানঘড়া এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে নারীরা কয়েকটি শিফটে কাজ করছেন। প্রতি শিফটে ৮০ জন নারী কাজ করেন। বর্তমানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় দিয়ে রঙ-বেরঙের পাপোশ তৈরি প্রকল্পের কাজ চলছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় পাইলট প্রকল্প হিসেবে নারীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি কারখানা, একটি বড় সেমিনার এবং প্রশিক্ষণ কক্ষ, দুটি অফিস কক্ষ, স্টোর রুম, স্থায়ী কর্মীদের থাকার কক্ষ, ডাইনিং ও ওয়াসরুম রয়েছে সেখানে। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যবস্থা। কারখানায় কেউ ঝুট মাল (গার্মেন্টসের পরিত্যক্ত কাপড়) বাছাই করছেন, কেউ সেগুলো বিভিন্ন রঙের কাপড় মিলিয়ে সেলাই করছেন তাঁতের উপর। কয়েকজন আবার সুতোসহ বিভিন্ন উপকরণ সবার কাছে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেলাইয়ের খুটখাট শব্দে মুখর চারপাশ।
তাঁতের উপর সেলাইয়ের পর দৃষ্টি নন্দন পাপোশগুলো সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে একটি কক্ষে। পাশেই আরেকটি কক্ষে রঙ-বেরঙের (লাল-নীল বিভিন্ন রঙের) সুতা আর কাঁচামাল স্তুপ করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানালেন, ‘সমাজে এমন অনেক নারী এবং গরিব পরিবার আছে, যাদের পক্ষে বর্তমান সময়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। একজন অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করতে পারলে গোটা পরিবারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক উদ্যোক্তা বিনিয়োগকে শুধু অর্থ উপার্জনের মূখ্য বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেন; আমি মনে করি, কমবেশি লাভ সবাই করবে। কিন্তু আমরা উৎপাদন খরচের থেকে সামান্য কিছু লাভ ধরে পণ্য বিক্রি করছি। যারা কম দামে কিনছেন, তারাও কিছুটা কম দামে বিক্রি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে ৩০ জন নারী কর্মী দিয়ে শুরু করেছিলাম। প্রায় দুই বছরে এখানে ২৫০ জন নারী কাজ করছেন। তারা সবাই এখন আত্মনির্ভরশীল। চেষ্টা করলেই সম্ভব, আর সেটা প্রমাণ করার জন্যই আমার এই ছোট উদ্যোগ। একজন নারী হিসেবে শুধু সফল গৃহিণী ও মা হিসেবে নয়, পাশাপাশি নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য। কর্মসংস্থান তৈরি করে একজন নারীকে স্বাবলম্বী করতে পারলে, সেই নারী সংসারে স্বামীকেও সাপোর্ট দিতে পারছে। এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই, এগিয়ে নিতে চাই।’
আপনার সফলতার পিছনে কার অনুপ্রেরণা বেশি— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার এই কাজে আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে আমার স্বামী। আমার কাজকে এগিয়ে নিতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা ছাড়াও প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি পাশে না থাকলে আমি হয়ত এত অল্প সময়ে, এত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সাহসই পেতাম না।’
- ফিলিপিন্সে সরকারি স্কুলে সশরীরে পাঠদান স্থগিত
- বিনা অভিজ্ঞতায় ৩০ জনকে নিয়োগ দেবে নাসা গ্রুপ
- এই গরমে মুঠোফোন ঠান্ডা রাখতে করণীয়
- অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাস দাবি
- কোন গাছ কখন কোথায় রোপণ করতে হয়
- পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশের সিনেমা
- বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
- ইরাকে নারী টিকটকারকে গুলি করে হত্যা
- ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন
- নীলফামারীতে বাড়ছে চিনাবাদাম চাষ
- গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- সুলতান সুলেমানের প্রাসাদে ফারিণ
- বিনা অভিজ্ঞতায় ব্যাংকে চাকরি
- খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো বাড়ল
- ২৯ ফেব্রুয়ারি বা লিপ ইয়ার নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
- জমজমাট ফুটপাতের ঈদ বাজার
- দেশে ধনীদের সম্পদ বাড়ছে
- বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
- গুলবদন বেগম: এক মুঘল শাহজাদির সাহসী সমুদ্রযাত্রার গল্প
- যে বিভাগে বিচ্ছেদের হার বেশি
- ৭ই মার্চ পরিস্থিতি, কেমন ছিলো সেই দিনটি
- ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
- শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে
- সদরঘাট ট্র্যাজেডি: সপরিবারে নিহত সেই মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা
- দিনাজপুরে ব্যাপক পরিসরে শিম চাষের লক্ষ্য
- জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন
- কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার নেতৃত্বে সাজ্জাদ-মোশাররফ-শরীফ
- বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের